এস ই ও (SEO) কি? কেন করতে হয়? SEO এর প্রকারভেদ

এস ই ও (SEO) কি? কেন করতে হয়? SEO এর প্রকারভেদ

এস ই ও (SEO) কি? কেন করতে হয়?
SEO -এর পূর্ণরূপ হচ্ছে “সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন”।
যে পদ্ধতির মাধ্যমে ওয়েবসাইট বা একটি কীওয়ার্ডকে র‌্যাঙ্কিং করানো হয় সে পদ্ধতিকে “সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন” বলে।
অর্থাৎ, এই পৃথিবীতে লাখো কোটি ওয়েবসাইট এর মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটকে অপ্টিমাইজ করে সার্চ ইন্জিনের প্রথমে আনার নামই হচ্ছে Search Engine Optimization বা SEO.

ধরুন আপনার একটি দোকান আছে। দোকানে আপনি নতুন নতুন মডেলের মোবাইল ফোন বিক্রি করেন। এই দোকানটা সম্পর্কে কয়জন মানুষ জানবে ধরে নিলাম এক হাজার জন অথবা আপনার উপজেলা পর্যায়ের মানুষজন। কিন্তু আপনি যদি একটা ওয়েবসাইট বানায়ে সব নতুন মডেলের মোবাইলের ফটো আপলোড দেন তাহলে গোটা পৃথিবীর মানুষ দেখবে এবং পছন্দ হলে অর্ডার করবে। তারপর, আপনি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সেই মোবাইলটি কাস্টমারের ঠিকানাই পাঠীয়ে দিবেন। এতে খুব দ্রুত বিজনেস প্রসার হবে।
তবে বিজনেসে বেশি লাভবান হতে হলে এসইও এর কোন বিকল্প নেই। মানুষ যখন সার্চ দিবে নতুন মডেলের মোবাইল যাতে আপনার ওয়েবসাইট প্রথমে আসে সেজন্য SEO করতে হবে। SEO হচ্ছে খুব কম খরচে বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং সিস্টেম।

SEO এর প্রকারভেদ- কত প্রকার ও কি কি?
SEO কে দুই ভাবে ভাগ করা হয় :-
১. অর্গানিক এস ই ও (Organic SEO)
২. পেইড এস ই ও (Paid SEO)

এস ই ও (SEO) কি? কেন করতে হয়? SEO এর প্রকারভেদ

অর্গানিক এস ই ও (ORGANIC SEO)
অরগানিক এসইও একটা ফ্রি পদ্ধতি। এর জন্য সার্চ ইঞ্জিনকে কোনো টাকা দিতে হয় না। অর্থাৎ,
যে পদ্ধতির মাধ্যমে ফ্রিতে ওয়েবসাইট সার্চ ইন্জিনের প্রথম পৃষ্ঠায় আসে সে পদ্ধতিকেই অর্গানিক এস ই ও বলে।
অর্গানিক SEO সাধারণত তিন প্রকার। যথা-

১. হোয়াইট হ্যাট (White Hat SEO) বা বৈধ পদ্ধতি
২. ব্লাক হ্যাট (Black Hat SEO) বা অবৈধ পদ্ধতি
৩. গ্রে হ্যাট (Gray Hat SEO) বা শংকর পদ্ধতি

এস ই ও (SEO) কি? কেন করতে হয়? SEO এর প্রকারভেদ

এস ই ও (SEO) কি? কেন করতে হয়? SEO এর প্রকারভেদ

১. হোয়াইট হ্যাট (WHITE HAT SEO)
SEO বা Search Engine Optimization এর যে পদ্ধতির মাধ্যমে সার্চ ইন্জিনের সকল নিয়ম নীতি মেনে কী-ওয়ার্ড র‌্যাঙ্কিং করানো হয় সে পদ্ধতিকে হোয়াইট হ্যাট (White Hat) SEO বলে।

হোয়াইট হ্যাট এসইও কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

১. অন পেজ (ON Page) SEO: ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরে যে কাজ করা হয় তাকে অন পেজ SEO বলে।
যেমন: টাইটেল ট্যাগ, কনটেন্ট, কিওয়ার্ড ইত্যাদি

২. অফ পেজ (OFF Page) SEO: যে কোনো ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য যে প্রচার প্রচারণা চালানো হয় তাকে অফ পেজ এসইও বলে। অর্থাৎ, URL Share, Link Building বা ব্যাক লিঙ্ক (Back Link) তৈরি করাকে মূলত অফ পেজ এসইও বলা হয়।

পেইড এস ই ও (Paid SEO):
যে পদ্ধতির মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে ওয়েবসাইট সার্চ ইন্জিনের প্রথম পৃষ্ঠায় আসে সে পদ্ধতিকেই পেইড এসইও বলে।

SEO এর গুরুত্ব:
SEO হচ্ছে ইন্টারনেট দুনিয়ায় প্রচারের অন্যতম মাধ্যম। আমি শুরুতেই বলেছি এই পৃথিবীতে লাখো কোটি ওয়েবসাইট আছে। এই লাখো কোটি ওয়েবসাইটের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইট কেউ খুজতে যাবে না। এতগুলো ওয়েবসাইটের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ইন্জিনের প্রথমে আনা সত্যিই চেলেঞ্জ এর বিষয়। তাই SEO একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইন্জিনের প্রথমে আনা সম্ভব।
আপনি যদি ব্লগার হয়ে থাকেন বা আপনার ব্লগিং সাইট থেকে থাকে। তাহলে আপনার সাইটকে SEO করা বাদ্ধতামুলক। কারন ব্লগিং সাইটের মুল আয় হচ্ছে গুগল এড। তাই আপনি যদি SEO করেন তাহলে ভিজিটর বাড়বে। ফলে ইনকাম বৃদ্ধি পাবে।
যতই দিন যাবে ততই ওয়েবসাইট বৃদ্ধি পাবে। আর ওয়েবসাইট বৃদ্ধি পেলে SEO এর চাহিদা বাড়বে। এজন্য খুব ভাল ভাবে SEO দক্ষ হতে হবে। যাতে ওয়েবসাইট খুব ভাল ভাবে অপ্টিমাইজ করা যায়।
আপনার অথবা আপনার কোম্পানির পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা বাড়াতে SEO বা Search Engine Optimization পর্যাপ্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তাই SEO এর গুরুত্ব অনেক অনেক বেশি।

About Post Author

Related posts